Friday, September 28, 2012

Middle class scale


Monday, October 17, 2011

ভয়ের আরাম

হাত-টা খুব নিস্-পিস করছে,

মুঠোর মধ্যে ধরা একটা কলম;

ইচ্ছে করছে, লিখে দিই সবকিছু-

শব্দই আজ, আমার ব্যাথার মলম।


আজ আর আমার মুখ ফোটেনা,

মুখ টা আমার সেলাই করেছে, ওরা

বলেছে, ’শুধু দেখে যা, একটু নড়লেই,

খুঁচিয়ে দেব, তোর ওই চোখ জোড়া-‘


আমি দেখছি সব, শুনছি চুপ করে।

এই বেশ ভাল, আমি এভাবেই থেকে যাবো।

মুখ খুলে আমি চোখ হারাব নাকি!

এমন আরাম কোথায় আমি পাব?


ওই যে, এক গাদা লোক চলছে, শেকল ধরে -

পথ-টা ওদের আগেই রয়েছে মাপা,

ওরা বিবেক-গুলো ফেলেছে ডাস্টবিনে,

আর, তার ওপরে বিশাল পাথর চাপা।


আমিও ছিলাম, কখনো ওদের দলে-

ওদের মতই ছিলাম শেকল ধরে,

একদিন যেই, একটু ছেরেছি হাত,

আমার মুখ-টা আগে দিলো সেলাই করে।


আমি শুনতে পাছি, টপ-টপ-টপ শব্দ।

আমার ভিতরেই শুনছি ওই আওয়াজ।

বাইরের কেউ টের-ও পায় না,

আমার, বিবেক থেকে রক্ত চুঁইছে আজ।

Monday, October 3, 2011

মরনের পরে

কান্না গুলো ভাঙ্গিয়ে দিল ঘুম,

উঠে দেখি আজ, হাল্কা অনেক হাল্কা।

তাকিয়ে দেখি, পড়ে আছে এক দেহ, অনেক চেনা-

বুঝে গেছি, বন্ধন সব হয়েছে আজকে আলগা।


তবে, হয়েছি আজকে মুক্ত, আমি মুক্ত, আমি মুক্ত।

উড়ে চলেছি, অনুভূতি গায়ে মেখে—

হঠাৎ, থমকে দিল, চেনা স্বরে কিছু কান্না,

বুকটা যেন মুচড়ে উঠল দেখে।


অবাক করল, ওদের মুখের বিলাপ,

আমি এতটা ভালো, জানা ছিল না তো আগে!

মরে গেছি, তবু ধাপ্পা দিচ্ছে সব,

মরার পরেই ওদের বিবেক জাগে?


যাক গে, এসব বেকার জিনিস পত্র।

যমালয়েও c.v. টা strong চাই,

কী করেছি, কী করিনি জীবন ধরে,

বলতে পারলে তবে যদি chance পাই!


করেছি সেটাই, চলছে যা যুগ যুগ,

পেয়েছি শুধুই ভুল করবার ভয়।

দেখছি আমার ছোট্ট জীবন চক্র,

c.v. খানা তো পাতে দেবার ও নয়।


আজকেও তাই হয়ে গেল এক ভুল,

শরীর ছেড়েছি হঠাৎ ঝোঁকের তোড়ে।

যমরাজেও নেবেনা আমার প্রান,

মাঝখানে তাই, ঝুলছি বিপদ করে।

Saturday, July 23, 2011

তুই না কবিতা

তুই না-আসলে কবিতা আসবে জেনে গেছি,

দোটানা এক অপেক্ষায় আমি।

কফির কাপে বিকেলে ছিলি তুই, রাতে কবিতা;

ভেবে পাই-না কোনটা আসল দামি।


দরজা আমার দুপাশে রয়েছে খোলা, তৃষিত,

তোদের জন্য সমান যত্ন আছে।

তোর পথ চেয়ে গোমড়া-মুখো আমি, আজ বুঝেছি

কেউ না কেউ আসবি আমার কাছে।


তুই বলবি, চরিত্রে দোষ আছে,

তোকে না-পেলে কবিতা-কে কাছে ডাকি।

ওরে আমার রিম-ঝিম-ঝিম বৃষ্টি, কেন ওমন মুখ ভরা মেঘ?

কবিতা-তেও তো তোর ছবি ই আঁকি!


ওই-যে পাহাড়ি নদীর মতো প্রাণ,

ধেয়ে যাস, সব কিছু ফেলে তুই;

কত যে চেষ্টা, তবু বাঁধতে পারি না!

কখনো-সখনো যদিও তোকে ছুঁই।


আর গভীর রাতে কবিতা যখন তুই,

আমার ঘরে শান্ত মুখে ঢোকে,

আমি যে তখন মহাবীর এক শিল্পী, পিকাসো-হুসেন

ইচ্ছে রং-এ রাঙাই তখন তোকে।


বুঝলি কি ছাই, কবিতা আসলে তুই?

চরিত্রে দোষ মোটে-ও আমার নাই;

তাই-তো, তুই না-থাকলে কবিতা থাকবে জানি,

যেভাবেই হোক, তোকেই তো আমি চাই...।।

Monday, January 24, 2011

আমি পালিয়ে বেড়াই রোজ

এ-পাতা,ও-পাতা, ডেস্কটপ-স্ক্রিন,
আমার সফর, ক্ষান্তি বিহীন;
তোমার মুখটা সকাল-বিকেল করছে আমার খোঁজ
আমি, পালিয়ে বেড়াই রোজ

সুখ চেয়েছি, আঘাত পেয়েছি,
ভালোবাসা দিয়ে, দুঃখ কিনেছি;
মনের দেয়ালে,ঘা গুনে, আজ করছি শান্তি খোঁজ;
তাই, পালিয়ে বেড়াই রোজ

ভুলতে চাইছি, পুরোনো স্মৃতি,
ছিল আগে, যত প্রেম-পিরিতি
পাগলের মত,চিতকারে বলি, ’স্মৃতি তুই চোখ বোজ!’
আজও, পালিয়ে বেড়াই রোজ

একদিন কবে থমকে গিয়ে,
অচিন পাখি,পাখা উড়িয়ে,
প্রাণ নিয়ে যাবে অচিন রাজ্যে, কখনো পাবে না খোঁজ;
সেদিন, পালাতে হবে না রোজ

Thursday, December 30, 2010

কবিতা’র ছেঁড়া খাতা

এই খাতা-তেই বাঁধবো ঘর, তুমি-আমি পরস্পর;

কবিতার ছেঁড়া খাতা।

পিছনে ফেলে, বাস্তব-চাল, দোঁহায় বুনিব স্বপ্ন জাল;

চার’টি চোখের পাতা।

মেঘ রঙা ছোট্টো বাসা, দখিন হাওয়ার যাওয়া-আসা;

দেখবো তোমার হাসি।

সকালে লাল সূর্য এঁকে, কুয়াশা-টা গায়ে মেখে,

বলবো, ভালবাসি।

প্রকৃতি, তুমি কৃপা ক’রো, স্বপ্ন-টা’কে একটু ধরো,

বাঁচিয়ে রাখো আজ।

বলবো বলে অনেক বাকি, কল্পনা’তে নেইকো ফাঁকি,

খুলোনা স্বপ্ন-সাজ।

শেষ উপহার তোমার খাতে, তুলে দেবো ওই দু’হাতে,

স্বপ্ন কয়েক পাতা।

বেছে নিও নিজের মতো, সুখে থেকো ইচ্ছে য’ত;

কবিতার ছেঁড়া খাতা।